

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : টঙ্গীতে কিশোর গ্যাং সদস্যরা নির্মমভাবে কুপিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। কুপিয়ে আহত করেছে আরো দুই পথচারীকে। এমনকি রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই মেরেছে। আহত পথচারী তুহিনকে (২৬) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৯টায় টঙ্গী পশ্চিম থানার আউচপাড়া সফিউদ্দিন রোডের মেরিট স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম সুমন মাহমুদ তানন (২৮)। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানার বড় দেওড়া ফকির মার্কেট এলাকার মেজর অব. ফজলুল হক পাটোয়ারির ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার মোহাম্মদপুরে। তিনি ডিমের ব্যবসা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ২৫-৩০ জনের কিশোর গ্যাং স্থানীয় মোক্তার বাড়ি রোড, সফিউদ্দিন রোডসহ বিভিন্ন শাখা রাস্তায় মহড়া দেয়। ঘটনার সময় তানন স্থানীয় মেরিট স্কুলের সামনে বসা ছিলেন। কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাকে সামনে পেয়ে কুপ দিলে তিনি দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালান। এসময় তাকে চার দিক থেকে ঘিরে ধরে উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে গ্যাং সদস্যরা এবং বীর দর্পে মহড়া প্রদর্শন করে চলে যায়। যাওয়ার গুলি বর্ষণ ও ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দু‘জনকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনালের হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাননকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তুহিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের জরুরী মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) শাফেয়ী আলম তুলতুল বলেন, তাননকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং তুহিনকে জরুরী বিভাগের সামনে থেকেই ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। তাননের পিঠে উপর্যপুরি কুপের চিহ্ন রয়েছে, এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত তাননের বাবা অবসরপ্রাপ্ত মেজর ফজলুল হক পাটোয়ারি বলেন, তানন বিগত ২০১৭ সালে সৌদী আরব থেকে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করে। প্রথমে সে ফলের ব্যবসা করতো। করোনা পরবর্তী সময়ে সে ডিমের ব্যবসা ধরে। তার সাথে কারোর বিরোধ বা শত্রæতা ছিল না। সে এক সন্তানের জনক।
জিএমপি উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুতমিশ বলেন, এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
