

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : টঙ্গীতে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গত তিনদিন অতিবাহিত হলেও থানায় মামলা নিতে পুলিশের গড়িমশি। টঙ্গীর এরশাদনগর ৭নং বøক এলাকার বাসিন্দা রত্মা বেগম একই ব্লকের বাড়ির মালিক জামালের কাছ থেকে দুই রুম বন্ধক বাবদ ১ লক্ষ টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেন। উক্ত টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে রত্মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউনিট আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আপোশ মিমাংশা করা হয় গত ২৫ জুলাই রাতে। উভয় পক্ষ আপোশ শর্ত মোতাবেক রত্মা আক্তার জামালের নিকট ভাড়া বাবদ পাওনা ১০ হাজার টাকা জামালের নিকট চাইতে গত ২৬ জুলাই জামালের বাসায় গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রত্মার উপর হামলা করে। এতে করে রত্মা ডাকচিৎকারে তার আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রধারা এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন-ইয়াছিন মিয়া, সাবিনা আক্তার, হোসনেয়ারা বেগম, সোহেল ও রত্মা বেগম। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গুরুতর আহত সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মাদক ব্যবসায়ী জামাল হোসেন, পিতা-নবী হোসেন, হিরা মিয়া, পিতা-জামাল, বিল্লাল, পিতা-আলম, ফুলবানু, স্বামী জামালদ্বয়ের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানান, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে মাদক মামলায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে গাছা থানায় ও রায়পুর থানায় মাদক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে এসে পুর্নরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত তিনদিন অতিবাহিত হলেও থানার দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে মামলা রুজু করতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিমা বেগম বলেন, একাধিকবার চেষ্টা করেও মামলা রুজু করা সম্ভব হয়নি। উল্টো বিভিন্ন মহলের হুমকি আসছে ঘটনার বিষয়টি আপোশ করার জন্য। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল তদন্তকারী এসআই আশরাফুল আলম জানান, উভয় পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলেছি। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি।
