Daily Gazipur Online

পান্থপথের ওয়ালটন প্লাজা শোরুমে ডাকাতি,৪ ডাকাত গ্রেফতার,লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

এস,এম,মনির হোসেন জীবন : আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ এবং পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পান্থপথের ওয়ালটন প্লাজা শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতির কাজে অংশগ্রহণকারী ডাকাত দলের ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রবিউল ইসলাম, সুমন, রানা ও সাথী। এদের মধ্যে একজন নারীও্ রয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, গত ২৩ জুন মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পান্থপথের ওয়ালটন প্লাজা শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়ালটন শোরুম টিম ম্যানেজার মো. রানা মিয়া পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলায় তদন্তের ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে পুলিশ আটক করে।এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ডিসি হারুন-অর-রশিদ জানান, থানায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয় ২৪টি ওয়ালটন ফ্রিজ, ৫টি এলইডি টেলিভিশন, একটি মোবাইলফোন এবং ড্রাইভারের সাড়ে চার হাজার টাকা এবং হেলপারের কাছে থাকা ৮০০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। যার দাম ৬ লাখ টাকার ও বেশি। এরমধ্যে থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেফতার এবং ১৮টি ওয়ালটন ফ্রিজ এবং তিনটি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে।
ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৭/১৫ পান্থপথ ওয়ালটন প্লাজার মালামাল কিশোরগঞ্জ জেলার ডিলারের কাছে পৌঁছানের উদ্দেশ্যে নিজস্ব পরিবহনে তোলা হয়। পণ্যের চালান কপি ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও হেলপার মিরাজের কাছে হস্তান্তর করে শোরুম কর্মচারীরা চলে যান।এর পরপরই একটি খালি পিকআপে ৭ থেকে ৮ জন এসে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ওয়ালটন কোম্পানির গাড়ির ড্রাইভার হেল্পারদের গাড়িতে ওঠায় এবং বিভিন্ন জায়গায় মালামাল নামিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
ডিসি হারুন অর রশীদ প্রেসব্রিফিংয়ে গনমাধ্যমকে জানান, মামলার ঘটনার তেমন কোনো ক্লু না থাকায় তদন্ত দলের তদন্ত শুরু করতে হয় বড় পরিসরে। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাইসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ডিসি হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সময় চুরি-ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়ে পরিচয় হয়। সেখানে বসেই বড় কোনো শোরুমে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে রাজধানীর পান্থপথের ওয়ালটন শোরুমে ডাকাতি করেন তারা।
তার স্বীকারোক্তিতে অনুযায়ী, ওই ডাকাতির ঘটনায় ৭ থেকে ৮ জন জড়িত ছিলেন। তারা জেলখানায় বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। পরে জেল থেকে বেরিয়ে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়ালটনের শোরুমে ডাকাতি করেন।