ব্যাংকের লেন্ডিং ও সেভিংস ইন্টারেস্ট নির্দিষ্ট হারে বেঁধে দেয়া প্রয়োজন

0
37
728×90 Banner

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক: সরকার পরিবর্তনের পর সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বৈশ্বিক সংঘাত-সংঘর্ষের প্রভাব। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংকের লেন্ডিং ও সেভিংস ইন্টারেস্ট নির্দিষ্ট হারে বেঁধে দেয়া প্রয়োজন। ব্যাংকিং সেক্টরে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শুরু করা শোষণ ও প্রতারণা এখনো বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলে তাদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। সেই টাকা দিয়ে ব্যাংক ব্যবসা করে, বিনিয়োগের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে লোন দেয়, যার সুদের হার করোনাকালে ছিল শতকরা ৯.০০। তখন ব্যাংক ভেদে সেভিংস এর সুদ হার ছিল ০.৫-২.৫ শতাংশ। বিগত সরকার মুদ্রাস্ফীতি রোধের নামে ব্যাংকের লেন্ডিং রেট ফ্লোটিং করে ১৪ শতাংশ করে দেয়। অথচ সাধারণ আমানতকারীরা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে সুদ হার ০.৫-২.৫ শতাংশের বেশি পাচ্ছেনা। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্টে সুদের হার ০.৫ শতাংশ। কিসের বিনিময়ে ব্যাংকগুলোকে এভাবে মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা করতে দিয়েছে সরকার। আমানতকারী যাদের টাকা তারা ইনোভেসট করে, তারা পায় ০.৫ -২.৫ শতাংশ, আর ব্যাংক গুলো নিয়ে নেয় বাকি ১১.৫-১৩.৫ শতাংশ লাভ। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে ব্যাংকগুলোর অনেক ক্ষেত্রে কিছু ভাল পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে যে ব্যাংকগুলো ঠকাচ্ছে সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক লেনডিং ইন্টারেস্ট রেট আর সেভিংস ইন্টারেস্ট রেটের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট পার্থক্য বেঁধে দিতে পারে – যেমন লেনডিং সুদের হার ১৪ শতাংশ হলে আমানত কারীর সেভিংস সুদের হার যেন অবশ্যই ৬-৯ শতাংশের মধ্যে থাকে। যাতে করে ব্যাংকগুলো তাদের খরচসহ মোট লাভের ৫-৮ শতাংশ পেতে পারে। এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে দক্ষতা বাড়ানোর একটি প্রতিযোগিতাও সৃষ্টি হবে।

Print Friendly, PDF & Email
728×90 Banner

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here