
এস, এম, মনির হোসেন জীবন : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক যুবলীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার ছিলেন একজন স্বচছ রাজনীতিবিদ। আমি শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার (প্রিয়-স্যারের) কাছ থেকে স্বচছ রাজনীতি সহ তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তিনি হলেন আমার রাজননীতির পদ প্রদর্শক। তিনি হলের আমার রাজনীতি গুরু। আমি প্রিয় স্যারের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমি প্রিয় স্যারকে কোন দিন ভুলবো-না, ভুলতে পারবোনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জাতির জনকের সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে আরও তড়িৎ গতিতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাবেক যুবলীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর আলম।
আজ বিকেলে জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশেষ প্রতিবেদক এস. এম. মনির হোসেন জীবনের সাথে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার পরিবার হল আওয়ামীলীগের পরিবার। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পরিবার। আমি শিশুকাল ও ছাত্রজীবন থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের পাশে ছিলাম। প্রিয় স্যারের সাথে রাজপথে মিটিং মিছিল করেছি। আমি স্যারের পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ছিলাম, এখনও পর্যন্ত তাদের পাশে আছি এবং আশা করি অদূর ভবিষ্যতে ও তাদের পরিবারের সাথে মিলেমিশে থাকবো।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রিয় স্যার আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রয়াত (এমপি) কে স্বরণ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার শাপলাচত্বরে জাতীয় শ্রমিকলীগের একটি সমাবেশে বিএনপি দলীয় লোকজনও সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। ওই সময় আমি শহীদ আহসান উল্লাহ স্যারের পাশে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি ছাত্রলীগের একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী ছিলাম।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী স্বেচছাসেবকলীগ সাবেক ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে টঙ্গী নোয়াগাঁও এম,এম মজিদ মিয়া উচচ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে তৎকালীন বিএনপি পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী দিবালোকে প্রকাশ্যে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে গাজীপুরের ভাওয়াল বীর, প্রখ্যাত শ্রমিকলীগ নেতা এবং গাজীপুর-টঙ্গী-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্বা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার (এমপি)কে।
মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে মনেপ্রাণে ভালবেসে আমিও আমার পরিবার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ছাত্রকালীন সময়ে আমি প্রথমে ছাত্রলীগ করি। এরপর দল আমাকে মূল্যায়ন করে টঙ্গী থানা যুবলীগের সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর আমি দীর্ঘ দিন টঙ্গী থানা ও সাবেক ১০ নম্বর ওয়ার্ড বর্তমানে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের নেতা নির্বাচিত হই।
বর্তমানে আমি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে মো: জাহাঙ্গীর আলম নিরলস ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে দলের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচিছ। আমি দলের জন্য জীবরবাজী রেখে আগামী দিনে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে যা যা করা দরকার আমি তাই করবো। আমি আশাবাদী দল আমাকে এবার অবশ্যই সঠিক মূল্যায়ন করবে। এটা আমার দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে আমি প্রত্যাশা করি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দলের এই ত্যাগী নেতা বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে আমার আমি পুলিশ হয়রানী, হামলা-মামলা, ভয়ভীতি, হুমকী সহ বিভিন্ন সময় বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বাসায় ঘুমাতে পারি নাই। বাসা থেকে অন্যত্র পালিয়ে ছিলাম। তখন দলের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। আজ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান ও গাজীপুর-টঙ্গী-২ আসনের চার বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেলের মত একজন নেতাকে আমরা টঙ্গীবাসি কাছে পেয়েছি। তিনিও তার পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করছেন। তিনিও পিতার মত একজন স্বচছ রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। তাই গাজীপুর ও টঙ্গীবাসির ভাগ্য উন্নয়নে সর্বক্ষেত্রে তার ও তার সরকারের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।
মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যুবও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি) গাজীপুর ও টঙ্গী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট,শিক্ষা ব্যবস্থা, স্কুল কলেজ-মসজিদ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ তার শাসনামলে করা হয়েছে। যার আর কোন সরকারের আমলে হয়নি। গাজীপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষের জন্য তিনি রাজ দিন পরিশ্রম কওে যাচেছন। তাই টঙ্গী ও গাজীপুরের উন্নয়নের রূপকার হলেন আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি)।
দেশ উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রী । তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচেছ। শেখ হাসিনা সরকার হলো উন্নয়নের সরকার। জাতির জনকের কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচেছ, আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সমাজের এলাকার মানুষের সুখ, দু:খে পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি) হাতকে বেগমান ও আরো শক্তিশালী করতে নেতাকর্মী ও মানুষকে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। এই হোক আমার আগামী দিনে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার টঙ্গীবাসির জন্য আমার দেশ গড়ার অঙ্গীকার।
মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী বিরোধী কর্মকান্ড সরকারের প্রশংসা উল্লেখ করে মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গী, জঙ্গীবাদ ও মাদক দেশও জাতির চিরশত্রু। বর্তমান সরকার কঠোর হস্তে এগুলো দমন করার জন্য নিরলস ভাবে রাত দিন কাজ করে যাচেছন। আগামী দিনে সকলকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। সবার পাশে রাখতে চাই।
দেশের পদ্মাসেতু, ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল প্রসঙ্গে মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশীয় টাকা দিয়ে সরকার পদ্মা সেতু নির্মান করছেন। বিদেশী অর্থায়নে নয়। এটা সত্যিকারে গোটা বাঙ্গালী জাতির গর্ব। এছাড়া ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল তৈরী করছেন সরকার। অতীতে আর কোন সরকার তা করতে পারেনি। সেজন্য আমি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচিছ।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব নেত্রী। বাংলাদেশ অচিরেই মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তি হবে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে রোল মডেল।
নিজেকে পারিবারিক ভাবে অনেকটা সুখি দাবি করে মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম,এ মজিদ মিয়া উচচ বিদ্যালয় থেকে আশার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। নোয়াগাঁও মাঠ হল স্বচছ রাজনীতি শেখার জায়গা। ১৯৭৩ সালের ১লা জানুয়ারি টঙ্গীস্থ ওয়াপদ্র্া কলোনীতে এক মুসলিম পরিবারে মো: জাহাঙ্গীর আলম (আমি) জন্ম গ্রহন করি । তার পিতার নাম মৃত মো: আমির হোসেন। শৈলারগাথি, গাজীপুর মহানগর, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড, টঙ্গী-গাজীপুর।
